December 23, 2024, 2:30 am
দৈনিক কুষ্টিয়া ডেস্ক/
আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে করোনাভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করতে জোর প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। কিভাবে সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিত করা যায় এ নিয়ে নানা প্রক্রিয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। জানা গেছে সরকার মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপ) তৈরির মাধ্যমে টিকাদান কর্মসূচী এগিয়ে নিতে চায়। টিকা গ্রহীতাকে এই অ্যাপে নিজেদের তথ্য দিয়ে তালিকাভুক্ত হতে হবে। সেখান থেকে সরকার টিকা গ্রহীতা সম্পর্কে যেমন তথ্য পাবে, তেমনি যারা টিকা নেবেন, তারাও পরবর্তী হালনাগাদ সম্পর্কে জানতে পারবেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে টিকা গ্রহীতাদের ডাটাবেজ তৈরিতে যে অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে, তাতে কোনো টাকা ব্যয় হচ্ছে না। আইসিটি বিভাগের সেন্ট্রাল এইড ম্যানেজমেন্ট (ক্যাম) নামের একটি সফটওয়্যার রয়েছে। সফটওয়্যারটি আইসিটি বিভাগের প্রোগ্রামারদের একটি দল তৈরি করেছে।
ওই সফটওয়্যারের মাধ্যমে করোনাকালীন দেশের ৫০ লাখ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল।
অ্যাপ তৈরির পর করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণকারী কোটি কোটি মানুষের তথ্য ক্লাউড সার্ভারে সংরক্ষণ করা, এনআইডি ও মোবাইল নাম্বার যাচাই এবং টিকা গ্রহীতাদের কয়েক কোটি এসএমএস প্রদান ইত্যাদি কাজে অর্থ ব্যয় হবে। এর মধ্যে ক্লাউড হোস্টিংয়ের জন্য আন্তর্জাতিক মানের ক্লাউড সার্ভার ব্যবহার ছাড়া এসএমএস পাঠাবে টেলিটক, এনআইডি ভেরিফিকেশনসহ অন্যান্য সব ধাপ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সম্পন্ন করবে।
টিকা বণ্টনের জন্য সারাদেশে তিন স্তরে কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানে টিকা বিতরণের জন্য ১৫ ধরনের প্রায় ছয় হাজার ৩০০টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এগুলো হলো- বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, ১০ ও ২০ শয্যার হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, পুলিশ হাসপাতাল, জাতীয় সংসদ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সচিবালয় ক্লিনিক ও সিটি করপোরেশন হাসপাতাল।
টিকা পেতে নিবন্ধন করতে হবে অ্যাপে : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ ‘সুরক্ষা’ অ্যাপ তৈরির কাজ শেষ করে এনেছে। টিকা পেতে এই অ্যাপে ভোটার আইডি দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এই কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সংশ্নিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অ্যাপটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। স্মার্টফোনে অ্যাপটি ডাউনলোড করে প্রত্যেক ব্যক্তি নিজ থেকেই নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য ফোন নাম্বার ও জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার, নাম, জন্ম তারিখ, অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা আছে কিনা, পেশা ইত্যাদি বিস্তারিত উল্লেখ করতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি করোনাভাইরাসের দুই ডোজ করে টিকা পাবেন। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের বিস্তারিত তথ্য অ্যাপের মাধ্যমে জানা যাবে। ভারতসহ অনেক দেশ টিকাদানে এ ধরনের অ্যাপ প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। কারা আগে টিকা পাবেন- সেই অগ্রাধিকারের তালিকাটি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন থেকেও সংগ্রহ করা যাবে।
Leave a Reply